Image

The daughter of sea Kuakata

আমার সাম্প্রতিক ভ্রমণের গল্প আপনাদের কাছে তুলে ধরছি…গত কয়েক মাস আগে,আমার পরিক্ষার পর আমি কুয়াকাটা ঘুরতে গিয়েছিলাম।

 

কুয়াকাটা মূলত তার সৌন্দর্যমণ্ডিত সৈকত, সৈকতে আছড়ে পরা বঙ্গোপসাগরের ফেনিল ঢেউ, দিগন্তজোড়া নীল আকাশ এবং ম্যানগ্রুভ বনের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৬ কিলোমিটার প্রশস্ত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত। এই সৈকতের বিশেষত হল, এখান থেকে আপনি একই সাথে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। সৈকতের কাছেই আছে সরকারি উদ্যোগে তৈরি ঝাউবন যেখানে আছে ঝাউ ও নারিকেল গাছ। আপনি সৈকত থেকে হেটেই ঝাউবনে যেতে পারবেন এবং এর মনোরম দৃশ্য ঊপোভোগ করতে পারবেন। ঝাউবনের পাশেই রয়েছে একটি ইকো পার্ক যেখানে পিকনিক করতে পারবেন। এছাড়া, আপনি ঝাউবনের পূর্বে অবস্থিত গঙ্গামাটি রিজার্ভ ফরেস্টে যেতে পারেন। প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এই কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসেন।প্রথমে ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী,এরপর পটুয়াখালী থেকে বাসে  কুয়াকাটা  এসেছি। এখানে রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।কিন্তু সময় এর সল্পতার কারনে আমি আর বেশিদুর ঘুরতে পারি নি😭।তবে আপনাকে কিছু গাইড দিয়ে গেলাম😁, কুয়াকাটার সৈকতে আপনি মোটরসাইকেলসহ গাইডদের পেয়ে যাবেন যারা আপনাকে সৈকতের কাছাকাছি আকর্ষণীয় জায়গাগুলোতে নিয়ে যাবে। এই গাইডদের সাথে আপনার সুবিধার্থে আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর ছবিসহ অ্যালবাম থাকে যেটি দেখে আপনি আপনার গন্তব্য ঠিক করতে পারবেন। এই গাইডদের একজনকে আপনি ১-৪ ঘণ্টার জন্য ২০০/- থেকে ৫০০/- টাকার মধ্যে ভাড়া করতে পারেন। একজন গাইড একসাথে দুজন পর্যটককে তার মোটর সাইকেলের পেছনে নিতে পারে। কুয়াকাটা সৈকত এবং এটির আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানগুলো অল্প সময়ে ঘুরে দেখার জন্য আপনার একজন গাইডকে ভাড়া করে সাথে রাখাই সমীচীন হবে।

 

আমি,আমার কিছু বন্ধু ও আমাদের এবং তাদের পরিবার সহ এসেছিলাম।সরকারি হোটেল এ আমরা অবস্থান নিলাম।যেটা ডাক বাংলো নামে পরিচিত। প্রথমেই হোটেল এ নেমে চেঞ্জ করে সমুদ্রেরপারে গেলাম।কিছুক্ষন ওখানে গোসল করার পর হোটেল এ ফিরে আসলাম।ভাবলাম সমুদ্রতে অনেক বালু তাই হোটেল এ গিয়ে গোসল টা করি,কিন্তু পরে দেখা গেল বাথরুম এর ঝর্না থেকেও পানির সাথে বালু পরে😂।যাই হোক তারপর হোটেল ম্যানেজার এর কাছে বলার পর পরিস্কার পানির ব্যবস্থা করে দিল। বিকেলে ঘুরাঘুরি করলাম আর ঝালমুড়ি টা অসাধারণ ছিল😍।সবথেকে ভালো লাগছে লাল কাকড়ার চর।প্রায় হাজার হাজার লাল কাকড়ার সমারোহ সেখানে।সে কি যে এক দৃশ্য,মনে হয় যে লাল চাদর এ সমুদ্রের পার আবৃত😍।তবে দুখের বিষয় আমি একটিও লাল কাকড়া ধরতে পারিনি😑।ধরার আগেই বালুর ভিতরে পালিয়ে যায়😂।

রাতেও কম মজা করিনি আমরা।সারাদিন যেমন মানুষের ভিড় রাতটা ঠিক তার উল্টো। কি বাতাস! আর ঢেউয়ের শো!শো! শব্দ। সে যে কি এক অনুভূতি😍 বলে বোঝানো যাবে না। তারপর গেলাম ফ্রাই এর দোকানে। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত সুস্বাদু😋। আমরা শুধু কাকড়া ফ্রাই ই খেলাম😋। বেশিক্ষন বাহিরে থাকতে পারলাম না কারন রাত ১২টার আগেই হোটেল এর গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।পরদিন সকালে আবার পটুয়াখালী বাসার দিকে রওনা হলাম। প্রথমবার আমি সমুদ্রসৈকতে গিয়েছে তাই প্রতিটা মুহূর্তই আমার স্মরনিয় হয়ে থাকবে।

তবে একটা জিনিস দেখে খুবই খারাপ লাগলো, সবাই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে😔।কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।তাই এর সৌন্দর্য রক্ষা করার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। ধন্যবাদ 🙂              

  •  Dhaka to Kuakata
  •  Bangladesh
  •  Kuakata
  •  Boat/Launch
  •  Hotel
  •  local restaurants
  •  people's here are very friendly here. They are always available to the needy❤

0 comments

Leave a comment

Login To Comment