দেবতাখুম ভ্রমণ প্যাকেজ

...

দেবতাখুম ভ্রমণ প্যাকেজ

বান্দরবান যদি বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ হয় তবে সেই ভূ-স্বর্গের লুকানো সৌন্দর্যের আঁধার হচ্ছে রোয়াংছড়ি। কখনো সুউচ্চ দুই পাহাড়ের মাঝে অতল জলরাশী আবার কখনো তুলোর মত উড়তে থাকা মেঘের সমুদ্র। এর মাঝেই দেবতাকুম এর অবস্থান। দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেবতাখুম ভ্রমণ প্যাকেজ অফার করছে।  গ্রিন বেল্ট এর বিশেষত্ব হলো- গ্রিন বেল্ট মূলত কাজ করে ফ্যামিলি ট্যুর নিয়ে। নারীদের ছোটখাটো সুবিধা অসুবিধা বিবেচনায় রেখে আমরা ট্যুর ডিজাইন করে থাকি। কর্পোরেট ফ্যামিলি ট্যুরের ক্ষেত্রেও দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিন্যাশনাল হাউজগুলো ভরসা রেখেছে আমাদের উপর।


গন্তব্যঃ দেবতাখুম ও বান্দরবান ভ্রমণ।

❑ ভ্রমণ খরচঃ

৫৫০০/- টাকা প্রতি জন। (নন এসি বাস)

৭৩০০/- টাকা প্রতি জন। (AC Business Class Bus)


❑ কাপলদের ক্ষেত্রে কাপল রুমের জন্য বাড়তি ১০০০ টাকা চার্জ যুক্ত হবে। আর যারা একদিন বাড়তি অবস্থান করে নীলাচল স্বর্ণমন্দির ও মেঘলা ঘুরতে চান না, দেবতাকুম ভ্রমণ শেষে রাতের বাসে ঢাকা ফিরতে চান, তাদের ক্ষেত্রে ট্যুর ফি হবে ৩৫০০ টাকা।


❑ ভ্রমণের স্থান সমুহ

⦿দেবতাখুম ⦿শীলবাধা পাড়া ⦿নীলাচল ⦿স্বর্নমন্দির ⦿মেঘলা


দেবতাখুম ভ্রমণ পরিকল্পনা

প্রথমদিন সকালে বান্দরবান নেমে ব্রেকফাস্ট শেষ করে হোটেলে চেক-ইন। এর পর জীপে করে রওনা করবো রোয়াংছড়ির উদ্দেশ্যে। রোয়াংছড়ি থেকে শীলবাধা পাড়া হয়ে দেবতাখুম দেড় ঘন্টার হাঁটা পথ। আমরা ছোট-বড় পাথরের দৃষ্টিনন্দন ট্রেইল ধরে যাবো, পাহাড় অতিক্রম করতে হবে না। প্রায় আধা কিলোমিটার খানেক লম্বা দেবতাখুম আমরা পার হবো বাঁশের ভেলায় চড়ে। রাতে বান্দরবান শহরে হোটেলে থাকবো। যারা শুধু দেবতাকুম ঘুরে ঢাকায়


দ্বিতীয়দিন হোটেল চেক আউট করে আমরা প্রথমে যাবো মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র। এরপর স্বর্ন মন্দির ঘুরে বিকেলটা আমরা কাটাবো নীলাচলে। তারপর রাতের খাবার খেয়ে রাতের বাসে ঢাকায় ফিরবো।


❑ কনফার্ম করার ডেডলাইন: আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে যাত্রার তারিখের কমপক্ষে ৪ দিন আগে পর্যন্ত বুকিং কনফার্ম করা যাবে।


❑ কনফার্ম করতে চাইলে ডেডলাইনের মধ্যে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। এসির বাসের ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা।


❑ বাসের আসন ও হোটেলের রুম বণ্টনের ক্ষেত্রে আগে বুকিং দিলে আগে পাবেন ভিত্তিতে দেয়া হয়। তবে সম্মানিত সিনিয়র সিটিজেন (বৃদ্ধ)গনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।


❑ যা সাথে নিতে হবে

⦿ ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি।

⦿ ট্রেকিং’এর জন্য প্লাস্টিক বা রাবারের জুতো। রোয়াংছড়ি বাজারেও পাওয়া যায়। দাম ১৫০ টাকা।

⦿ চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক।

⦿ ভেজা কাপড় বা ফোন-ক্যামেরা রাখার জন্য পলিথিন।


দেবতাখুম ভ্রমণ প্যাকেজে যা যা থাকছে

⦿ ঢাকা-বান্দরবান-ঢাকা বাস টিকেট ।

⦿ বান্দরবান পৌঁছানোর পর সকালের খাবার থেকে শুরু করে আসার দিন রাতের খাবার সহ প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার।

⦿ ২ দিনের জীপ ভাড়া ।

⦿ আর্মি অনুমদিত গাইডের খরচ ।

⦿ পর্যটন কেন্দ্র সমূহের এন্ট্রি ফি।


❑ যা থাকছেনা

⦿ ঢাকা থেকে বান্দরবান আসা-যাওয়ার পথে বাসের যাত্রা বিরতিতে খাবার ।


কনফার্ম করার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে


⦿ এটি একটি এন্ট্রি লেভেল ট্রেকিং ট্যুর। দেড় ঘন্টা হেঁটে দেবতাখুম যেতে হবে আবার ফিরেও আসতে হবে একই পথ ধরে।


⦿ ট্যুরের প্রথম দিন আপনাকে মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকতে হতে পারে।


⦿ নিরাপত্তা ও হসপিটালিটির কারনে গ্রিন বেল্টের সাথে প্রচুর নারী ট্রাভেলার ভ্রমন করেন। এবং বরাবরের মতই মেয়েদের থাকার রুম আলাদা থাকবে।


⦿ দেবতাকুম যাবার দিন দুপুরের খাবার খেতে বিকেল হবে।


⦿ এই ব্যাপার গুলো জেনে যদি মনে হয় আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন,তবেই কনফার্ম করবেন।


⦿ গ্রিন বেল্টের বিভিন্ন ট্যুর শেষে ট্রাভেলারদের ফিডব্যাক জানতে ও ট্যুরের ছবি দেখতে জয়েন করতে পারেন উন্মুক্ত ট্রাভেল আড্ডার গ্রুপ Green Belt The Travelers‘এ।


❑ আমাদের অভিজ্ঞতা :  গ্রিন বেল্ট ট্যুরিজম যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালে। এরপর গত ৪ বছরে গ্রিন বেল্ট সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেছে ১০০০ এরও বেশি ট্যুর। এর মধ্যে দেবতাখুম ভ্রমণ প্যাকেজ বাদেও সাজেক ভ্যালি, কক্সবাজার, সেইন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটি, সুন্দরবন, টাঙ্গুয়ার হাওর, সিলেট সহ অনেকগুলো ডেস্টিনেশন রয়েছে। দেশের বাইরে মূলত সিকিম, দার্জিলিং, মেঘালয়, ভূটান ও কাশ্মীর ট্যুর পরিচালনা করে গ্রিন বেল্ট। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন মাননীয় সচিব থেকে শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, টেকনোভিস্তা, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, কোকাকোলা (আব্দুল মোনেম লিঃ), রক্সি পেইন্ট, ডাচ বাংলা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সহ ১২ টি ব্যাংকের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ, পঙ্গু হাসপাতালের ডাক্তারগন, ঢাকা মেডিকেল, আসগর আলী মেডিক্যাল সহ বিভিন্ন মেডিকেলের ডাক্তারগণ আমাদের কর্পোরেট ট্যুর সার্ভিস নিয়েছেন। আমাদের প্রত্যেকটি ট্যুর ‘ফ্যামিলি ও ফিমেইলদের’ কথা মাথায় রেখে এক্সিকিউট করা হয়। আপনার স্বপ্নগুলো স্মৃতি হোক!


বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতি

১. সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।

শাহ-আলী প্লাজা, ১৪ তলা, মিরপুর ১০ নাম্বার সার্কেল।


২. বিকাশ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেট করা যাবে।

৩. ব্যাংক ডিপোজিট করে বুকিং করা যাবে।


**যোগাযোগ :

0188 4710 723

0186 9649 817