প্রতিযোগীঃ MD Shad
বলছিলাম, বাংলাদেশের মায়া ভরা এক জায়গার কথা, নাম নীদ্রার চড়। কী নামটা বেশ মনকাড়া তাই না! হ্যা, এই নামের থেকেও নয়নাভিরাম এখানকার সৌন্দর্য। নীল আকাশ আর তার নীচে সারি সারি কেওড়া গাছ। তবে একটা গাছ থেকে অন্য গাছের মধ্যে আছে নির্দিষ্ট দূরত্ব। দেখলে মনে হবে কেউ যেন পরম যত্নে জায়গাটা সাজিয়েছে। হ্যা, সত্যিই তাই! প্রকৃতি নিজ হাতে নীদ্রার চড়কে সাজিয়েছে। সারি সারি কেওড়া ও ঝাউ গাছ আর তার মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ছোট ছোট কুয়ো। সেই কুয়োর আধ ঘোলা জলে মাছের পোনা আর কাকড়া সেনাদের খেলা জমে বেশ। পুরো জায়গাটাই জেন সবুজ ঘাসের চাদরে মোড়া। খালি পায়ে তাদের মধ্যে পদাচরন ও আপনার ভালো লাগার অনুভূত হবে। ও খান থেকে কয়েক পা দক্ষিণে আগালেই নয়নাভিরাম শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৌকত। রাশি রাশি ঢেউ এসে মোহনায় মিলিয়ে যায়। আবার কয়েকটা ঢেউ জেলেদের নাওয়ে এসে আছড়ে পরে। ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভারী বাতাস এসে এলোমেলো করে দেয় মাথার সব চুল সাথে ব্যাকুল হয়ে ওঠে মন। সমুদ্রের নোনা জল যেন নেশার মতো, পরশেই মাতাল করে তোলে- ভুলিয়ে দেয় মনের সব বেদনা। আনন্দে চিৎকার করে ওঠে মন। সেই চিৎকারই আবার প্রতিধ্বনী হয়ে ফিরে আসে। চারদিক শুনশান নিরবতা। দু কানকে হাতের তালু যুগল দ্বারা আবৃত করতেই আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে জলরাশির কলকল ধ্বনী। পার ঘেষে হালকা পশ্চিমে তাকলেই চোখ পরবে বিশাল জঙ্গলভূমির। হাজার রকমের বাহারি সব গাছ। সেই গাছে হ্যামক টাঙ্গিয়ে দু-চোখ বুঝে অনুভব করতে পারো, গাছের পাতার জোড়া ছিন্ন করে বয়ে চলা বাতাসের প্রখরতা। আশা করছি নিরাশ হবে না। নীদ্রার চড় আমার দেখা নয়নাভিরাম জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম। যে কোন শীতের সকালে ছুটে যেতে পারো নীদ্রার চড়ে। জায়গার ওপর ভিত্তি করে যাতায়াত ভাড়া ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে রাত্রি যাপনের জন্য এখানে বেশ কিছু রিসোর্ট রয়েছে। রিসোর্টে একদিনের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা লাগবে। রিসোর্ট গুলোতে রান্না- বান্না করে খাওয়ার সু-ব্যাবস্থা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনার চাহিদা অনুযায়ী খরচ হবে। এছাড়া রিসোর্টের পরিচালক কে বললে, তিনিও আপনার চাহিদা মতো খাবারের ব্যাবস্থা করে দেবে। খাবারের জন্য আলাদা পেমেন্ট করতে হবে। তো কোন এক শীতের সকালে বন্ধু অথবা ফ্রেন্ডদের নিয়ে ছুটে যাওয়াই যায় "নীদ্রার চড়ে" সমুদ্রের কোল ঘেষা প্রান্তিক জেলা বরগুনার, তালতলি উপজেলার- সোনাকাটা ইউনিয়নের নীদ্রার চড় অবস্থিত। পর্যটন প্রেমিদের কাছে এই সৈকতের নাম এখনও ততোটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি। তবে যে একবার এখানে যাবে, সে নীদ্রার চড়কে আজীবন মনে রাখতে বাধ্য। সাগরের মোহনায় বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টি নন্দন সৈকত নীদ্রার চড়। আর হ্যা নীদ্রার চড় গেলে, টেংরা গিরি অভায়ারন্য ও শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে একপলক ঘুরে আসলে ও মন্দ লাগবে না।Already have an account?
Login to voteDo not have an account?
Create Account to vote