প্রতিযোগীঃ MD. Rajaul karim Raju

আমি এ পর্যন্ত যতগুলো জায়গা ভ্রমণ করেছি তার মধ্যে এটি ছিল উল্লেখযোগ্য সেটারই বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা জুড়েই আছে ঐতিহ্যবাহী অসংখ্য দর্শনীয় বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে আলোচিত ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছরের পুরোনো সূর্যপুরী আমগাছ। জেলার পশ্চিম হরিণমারি সীমান্তের মন্ডু মালা গ্রামে দেখা যাবে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় এই আম গাছ। কেউ কেউ একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আম গাছ বলেও আখ্যা দিয়ে থাকে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে প্রাচীন এই গাছটিকে দেখতে। স্থানীয়দের কাছেও এই গাছটি এখন বিনোদনের জায়গা। গাছটি স্থানীয়ভাবে বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ নামে পরিচিত। প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত এই গাছটির আকৃতি সুবিশাল। গাছটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর ডাল। গাছের ডালগুলো কান্ড থেকে বেরিয়ে একটু উপরে উঠেই মাটিতে নেমে গেছে। তারপর আবারো উঠেছে উপরের দিকে। দেখতে অনেকটা ঢেউয়ের মতো। কান্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো একেকটা মাঝারি সাইজের আমগাছের মতো। গাছটি ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ঐতিহ্য। এর বর্তমান মালিক দুই ভাই সাইদুর রহমান ও নূর ইসলাম। তারাও সঠিক বলতে পারেন না যে, ঠিক কবে গাছটির চারা রোপণ করা হয়েছিল। তাদেরও ধারণা প্রায় ২০০ বছর হবে গাছটির বয়স। গাছটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোটখাটো একটা বিনোদন কেন্দ্র। স্থানীয়রা গাছটির সঠিক কোনো তথ্য দিতে না পারলেও তাদের মতে, সূর্যপুরী জাতের এত বড় আমগাছ বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। তাই প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন গাছটি একনজর দেখার জন্য। এখানে ঢুকতে গুনতে হবে মাথাপিছু ২০ টাকা। টিকিটের সংগৃহীত এই অর্থ ব্যয় হয় গাছটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। উপজেলা প্রশাসন থেকে গাছের এক পাশে পাকা বেঞ্চ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের জন্যে। গাছটির সৌন্দর্য্যের সাথে সাথে এর আমের স্বাদেরও বেশ কদর শোনা যায়। খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হয় এ গাছের আম। যুগ যুগ সময় ধরে এই গাছ সুস্বাদু আম দিয়ে আসছে। প্রতিবছর গাছে মুকুল আসা মাত্রই গাছের মালিক আম ব্যবসায়ীদের নিকট আগাম আম বেচে দেন। এ গাছটি থেকে প্রতি সিজনে ১০০-১৫০ মন পাওয়া যায়। আর যেহেতু এই গাছের আমের আলাদা একটু খ্যাতি আছে তাই এই গাছের আম বাজারের অনান্য আমের তুলনায় একটু বেশি দামে কেনাবেচা হয়। যাতায়াত বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আম গাছ দেখতে হলে আপনাকে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগে যেতে হবে ঠাকুরগাঁও। সেখান থেকে যেতে হবে বালিয়াডাঙ্গী। ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গী যাওয়ার জন্যে লোকাল বাস সার্ভিস আছে। বালিয়াডাঙ্গী থেকে ইজিবিইক বা অটোরিকশায় যেতে পারেন মন্ডু মালা গ্রামের সূর্য্যপূরী আম গাছ দেখতে। ঠাকুরগাঁও জেলায় এছাড়াও বেশ অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে এদের মধ্যে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, রাজা টংকনাথের রাজবাড়ী, মহালবাড়ি মসজিদ, জগদল রাজবাড়ি উল্লেখযোগ্য

Already have an account?

Login to vote

Do not have an account?

Create Account to vote