bgc_photo_3492
 

প্রতিযোগীঃ Md. Foysal Mehedi

বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি এই ন-কাবা ঝর্ণা। এটি রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাঙ্গালকাটা এলাকায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে কাপ্তাই যাওয়ার পর, কাপ্তাই লঞ্চ ঘাট থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা ট্রলারের যাত্রা শেষে পৌছাতে হয় বিলাইছড়ি। এরপর ৩০-৪০ মিনিটের যাত্রায় ট্রলার নিয়ে যেতে হয় বাঙ্গালকাটা। বাঙ্গালকাটা থেকে এরপর গাইড নিয়ে প্রায় ২-৩ ঘন্টা পানি প্রবাহিত ছড়া, পাথরের উপর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ ট্রেকিং করলে দেখা পাওয়া যায় ন-কাবা এবং মুপ্পোছড়া ঝর্ণার। চাকমা ভাষায় বলে ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা, আবার অনেকেই বলেন ন-কাটা ঝর্ণা। আর ন-কাটা ছড়া ঝর্ণা বা ন-কাবা ছড়া ঝর্ণার নামকরণ নিয়েও একটি ইতিহাস আছে। এখানে স্থানীয় এক লোক একটি বড় গাছ কেটে একটি নৌকা তৈরী করেন। এরপর হতে এই ঝর্ণার নাম ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা নামে পরিচিতি পায়। মুলত মুপ্পোছড়া ঝর্ণার জ্বল-ধারাতেই ন-কাবা ঝর্ণার সৃষ্টি। কিন্তু মুপ্পোছড়া অনেক বেশি স্হাননিয়ে ছড়িয়ে থাকার জন্য, ন-কাবার তুলনায় তার পানির বেগ কম। ন-কাবার ভঙ্গুর-আঁকাবাকা পাথুরে তলদেশ, আর পানির বেগ তাকে করে তুলেছে অনন্য। তবে ন-কাবা ঝর্ণাতেও শুকনো মৌসুমে পানি খুব কম থাকে। কিন্তু ভরা বর্ষা মৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নীচে আঁচড়ে পড়ে আসতে থাকে। ঝর্ণা হতে নিঃসরিত জলতরঙ্গ যেন রিনিঝিনি নুপুরের ধ্বনি, যেন সহস্র ধারার কল্লোলের শ্রুতিমাধুর্যে মানুষকে মুগ্ধ করছে। এর রূপ, রস, মাধুরী প্রকৃতির শোভাবর্ধন করছে, ধরিত্রীকে করছে সুশীতল। অনুপম রূপসজ্জায় সজ্জিত এই ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে যে কেউ হারিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে, ঝর্ণার হিমশীতল জলে ভিজে দেহ মনকে পরিশুদ্ধ করবে। এই ঝর্ণায় দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক সৌন্দর্য অবলোকন করে চারদিকে তাকালে প্রকৃতির বিচিত্র রূপ ও পাহাড়ি ঢেউ ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ে না।

Already have an account?

Login to vote

Do not have an account?

Create Account to vote