আমার ভ্রমণের গল্প ✴️
দিন টি ছিলো ২০১৭ সালের ১৭ এই এপ্রিল, যে দিন সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছিল একটি দিবস,দিবস টি হলো আন্তর্জাতিক মুজিব নগর দিবস। এই মজিব নগর জায়গাটিতে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস। ১৯৭১ সালে ১০ এই এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় এবং সে সরকার শপথ পাঠ করে ১৭ এপ্রিল। তখন থেকে জায়গা টির নাম রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মজিব নগর।
জায়গায় টিতে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৭ এপ্রিল পালন করা হয় মুজিব নগর দিবস। সে খানে উপস্থিত থাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্য মান্য ব্যাক্তি বর্গ। আমি ও একদিন ভেবেছিলাম জায়গায় টিতে যাবো। তখন আমাদের জেলার নাম কিন্তু মেহেরপুর জেলে, তবুও আমি সেখানে কোনো দিন যায়নি কারন তখন আমি অনেক ছোটো ছিলাম। তার পর ভেবে দেখলাম আমি আমার গ্রামের বড় ভাইদের সাথে যাবো।
কিন্তু সেখানে যাবো তো,তাহলে তো টাকা লাগবে। না.... সেই চিন্তা থেকে আমি মুক্তি পেলাম কারন আমাদের নিজের জেলায় জায়গাটা থাকার কারনে আমদের নিজ জেলার এম পি মহাদয় প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল আমাদের জেলার প্রতিটি গ্রামে একটা করে বড় বাস গাড়ি পাঠায় তাতে কোনো ভাড়া লাগে না, ব্যাস আমিও আমার পরিবারের কাছে বাইনা ধরলাম আমি সেখানে যাবো, কিন্তু আমার পরিবারের কেউ তাতে রাজি নয়।তার পর আমি হাউ মাউ করে কাদতে লাগলাম।
তার পর কি আর করবে, বললো যা, তখন আমার বাবা আমাকে বড় বাস গাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে। আমাদের গ্রামের বড় ভাইদের কাছে আমাকে আমানত সহকারে তাদের নিয়ে যেতে বললো। তারাও রাজি হয়ে গেল। বাবা আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫০ টাকা দিয়ে বললো খিদে পেলে কিছু কিনে খাস,আমি ও টাকা টা তাড়াতাড়ি নিয়ে গাড়ির ভিতরে গিয়ে পিছনের সিটে বসলাম। তার কিছু সময় পর বাস ছেড়ে দিলো।
তখন আমার যেরকম আনন্দ লাগছিলো তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারন এটাই ছিলো আমার জিবনের প্রথম ভ্রমণ। বাবা একজন গ্রামের মানুষ, বেশি পড়াশোনা করেনি তাই আমাদের কোনো জায়গায় দেখাতে পারে নি। তাই এই প্রথম ভ্রমণের আনন্দ আমার অনেক ভালো লাগছিলো।
তার পর গাড়ি চলতে চলতে আমরাও আনন্দের সাথে গল্প করতে করতে যেতে লাগ্লাম,তার কিছু সময় পর আমরা পোছে গেলাম সেই ঐতিহাসিক জায়গায়।তার পর আমরা বাস থেকে নেমে দেখলাম
সেখানে অনেক বড় বড় বাস এসেছে। তখন বড় ভাইরা আমার হাত ধরে চলতে লাগলো সামনের দিকে, আমি ও আনন্দের সাথে বেশ হাটতে লাগলাম।
তার পর আমরা চলে গেলাম মুজিব নগর সৃতিসোধের ভিতরে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম মুক্তি যোদ্ধার মূর্তি, ভাস্কর্য, আম বাগান, সৃতিসোধ,বাংলাদেশ ম্যাপ, সহ আরো নানা কিছু। সেখানে যেহেতু মজিব নগর দিবস পালিত হচ্ছে,সে কারনে সেখানে জেলার যত মুক্তি যোদ্ধা ছিলো তারা সেখানে সেই দিন টা পালন করার জন্য অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছে।তারা তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় গাথা মানুষের কাছে শোনাচ্ছিল।
আমরাউ সে খানে শুনতে লাগ্লাম তাদের কথা শুনে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম, যে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন করে নিয়েছে। তাই আমি সকল শহিদ্দের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করলাম।এই ভাবে আমি ওই সারা টি দিন মুজিব নগর দিবস পালনের মাধ্যমে পার করলাম।
এই কথা গুলো আমার ছোট বেলার ভ্রমণ কাহিনি থেকে আপনাদের মাঝে যত টুকু পারি তত টুকু শেয়ার করলাম।
নাম মোঃ সোহেল রানা
মোবাইলঃ ০১৩১৫৮৬৭০১৮
আমার ভ্রমণের গল্প।
আমার ভ্রমণের গল্প ✴️ দিন টি ছিলো ২০১৭ সালের ১৭ এই এপ্রিল, যে দিন সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছিল একটি দিবস,দিবস টি হলো আন্তর্জাতিক মুজিব নগর দিবস। এই মজিব নগর জায়গাটিতে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস। ১৯৭১ সালে ১০ এই এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় এবং সে সরকার শপথ পাঠ করে ১৭ এপ্রিল। তখন থেকে জায়গা টির নাম রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মজিব নগর। জায়গায় টিতে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৭ এপ্রিল পালন করা হয় মুজিব নগর দিবস। সে খানে উপস্থিত থাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্য মান্য ব্যাক্তি বর্গ। আমি ও একদিন ভেবেছিলাম জায়গায় টিতে যাবো। তখন আমাদের জেলার নাম কিন্তু মেহেরপুর জেলে, তবুও আমি সেখানে কোনো দিন যায়নি কারন তখন আমি অনেক ছোটো ছিলাম। তার পর ভেবে দেখলাম আমি আমার গ্রামের বড় ভাইদের সাথে যাবো। কিন্তু সেখানে যাবো তো,তাহলে তো টাকা লাগবে। না.... সেই চিন্তা থেকে আমি মুক্তি পেলাম কারন আমাদের নিজের জেলায় জায়গাটা থাকার কারনে আমদের নিজ জেলার এম পি মহাদয় প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল আমাদের জেলার প্রতিটি গ্রামে একটা করে বড় বাস গাড়ি পাঠায় তাতে কোনো ভাড়া লাগে না, ব্যাস আমিও আমার পরিবারের কাছে বাইনা ধরলাম আমি সেখানে যাবো, কিন্তু আমার পরিবারের কেউ তাতে রাজি নয়।তার পর আমি হাউ মাউ করে কাদতে লাগলাম। তার পর কি আর করবে, বললো যা, তখন আমার বাবা আমাকে বড় বাস গাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে। আমাদের গ্রামের বড় ভাইদের কাছে আমাকে আমানত সহকারে তাদের নিয়ে যেতে বললো। তারাও রাজি হয়ে গেল। বাবা আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫০ টাকা দিয়ে বললো খিদে পেলে কিছু কিনে খাস,আমি ও টাকা টা তাড়াতাড়ি নিয়ে গাড়ির ভিতরে গিয়ে পিছনের সিটে বসলাম। তার কিছু সময় পর বাস ছেড়ে দিলো। তখন আমার যেরকম আনন্দ লাগছিলো তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারন এটাই ছিলো আমার জিবনের প্রথম ভ্রমণ। বাবা একজন গ্রামের মানুষ, বেশি পড়াশোনা করেনি তাই আমাদের কোনো জায়গায় দেখাতে পারে নি। তাই এই প্রথম ভ্রমণের আনন্দ আমার অনেক ভালো লাগছিলো। তার পর গাড়ি চলতে চলতে আমরাও আনন্দের সাথে গল্প করতে করতে যেতে লাগ্লাম,তার কিছু সময় পর আমরা পোছে গেলাম সেই ঐতিহাসিক জায়গায়।তার পর আমরা বাস থেকে নেমে দেখলাম সেখানে অনেক বড় বড় বাস এসেছে। তখন বড় ভাইরা আমার হাত ধরে চলতে লাগলো সামনের দিকে, আমি ও আনন্দের সাথে বেশ হাটতে লাগলাম। তার পর আমরা চলে গেলাম মুজিব নগর সৃতিসোধের ভিতরে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম মুক্তি যোদ্ধার মূর্তি, ভাস্কর্য, আম বাগান, সৃতিসোধ,বাংলাদেশ ম্যাপ, সহ আরো নানা কিছু। সেখানে যেহেতু মজিব নগর দিবস পালিত হচ্ছে,সে কারনে সেখানে জেলার যত মুক্তি যোদ্ধা ছিলো তারা সেখানে সেই দিন টা পালন করার জন্য অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছে।তারা তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় গাথা মানুষের কাছে শোনাচ্ছিল। আমরাউ সে খানে শুনতে লাগ্লাম তাদের কথা শুনে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম, যে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন করে নিয়েছে। তাই আমি সকল শহিদ্দের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করলাম।এই ভাবে আমি ওই সারা টি দিন মুজিব নগর দিবস পালনের মাধ্যমে পার করলাম। এই কথা গুলো আমার ছোট বেলার ভ্রমণ কাহিনি থেকে আপনাদের মাঝে যত টুকু পারি তত টুকু শেয়ার করলাম। নাম মোঃ সোহেল রানা মোবাইলঃ ০১৩১৫৮৬৭০১৮